বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ লীগ অব আমেরিকার আহবান

<৪,১৪২,২৬০-২৬৩>

অনুবাদকঃ সমীরণ কুমার বর্মন

    শিরোনাম        সূত্র       তারিখ
১৪২। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ লীগ অব আমেরিকার আহবান বাংলাদেশ লীগ অব আমেরিকার মুখপত্র ‘বাংলাদেশ পত্র’  ১৪ মে, ১৯৭১

 

 

বাংলাদেশ পত্র

কলেজ স্টেশন,টেক্সাস            প্রথম সংখ্যা                ১৪ মে, ১৯৭১         _______________________________________________________________

স্বাধীনতার ডাকে

বাংলাদেশে আজ রক্তগঙ্গা বইছে। বাংগালির রক্তে হোলি খেলে  পাঞ্জাবি দস্যুদল পৈশাচিক আনন্দে মত্ত। আমাদেরই ভাইবোনেরা যখন অত্যাচারীর খড়গ রুখে দাঁড়াতে গিয়ে নির্বিচারে জীবন বিলিয়ে দিতে দ্বিধা করছেন না, তখন মার্কিন দেশের বিলাষময় পরিবেশের মধ্যে থেকে দেশের জন্য আমরা কি করছি?! স্বাধীনতা আমরা পাবই, এ ব্যাপারে দ্বিমতের কোন অবকাশ নেই। তবে এ আন্দোলনে আমরা আমাদের দেশবাসীকে কতটুকুই বা সাহায্য করছি? ছিন্নবস্ত্রে, অনাহারে ও অন্নাভাবে থেকেও বাংলাদেশের বীর জনতা স্বৈরাচারী সাম্রাজ্যবাদের বেয়নেট ও শাসনকে ভূলুন্ঠিত করেছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের এই সংকটময় মুহূর্তে দেশবাসীর জন্য আমরা কি আমাদের একটুকু আরাম-আয়েশ বিসর্জন দিতে পেরেছি? হাজারো মানুষের রক্তের ঋণে গড়া এই সংগ্রামের ডাকে আমরা এককভাবে সাড়া দিতে না পারলে উত্তরসূরীরা আমাদেরকে ক্ষমা করবে না।

    তাই আজ আমাদের একতাবদ্ধ হতে হবে। আসুন, বাংলা মায়ের ডাকে সবাই একসাথে কাজ করে যাই। দলাদলি ও বিভেদ ভুলে গিয়ে মাত্র একটি লক্ষ্যে পৌঁছাবার জন্য আমাদেরকে আত্মোৎসর্গ করতে হবে।

    করণিয় আমাদের অনেক। প্রচারকার্যে দলবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্র ও স্বাধিকার আদায়ে বাংলাদেশের বীর জনতার মহান আদর্শ ও আত্মত্যাগের সংগ্রাম বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে। প্রচারকার্যের এবং বাংলাদেশের দুর্গত মানবতার জন্য আর্থিক সাহায্যের একান্ত প্রয়োজন। এই মুহূর্তে আমাদের যথাসাধ্য সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত।

    এই চরম সংকটকালে নির্বিকার হয়ে বসে থাকলে চলবে না। বিনা ত্যাগে স্বাধীনতার আকাঙ্খা করলে ভুল হবে। এ ভুল অমার্জনীয় অপরাধ। সংগ্রামহীন স্বাধীনতা লাভের নজীর ইতিহাসে নেই। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে গড়া এই মুক্তির সংগ্রামকে আমরা ব্যার্থ হতে দেব না। বাংলার জয় হবেই।

জয় বাংলা

কলেজ স্টেশনঃ আমাদের কর্মসূচী

    গত নির্বাচনে অর্জিত গণতন্ত্রের অধিকার আদায়ের জন্য মার্চ মাসের প্রথম ভাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদেশব্যাপী এক অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন। এই আন্দোলনকে বানচাল করে দেবার জন্য পাঞ্জাবি সৈন্যরা নির্বিচারে গণহত্যা আরম্ভ করে। এই ঘটনার প্রথম থেকেই আমরা কলেজষ্টেশনের বাঙ্গালী ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশের জন্য কাজ শুরু করি। প্রথমতঃ একটি সামরিক পরিষদ গঠন করা হয়। তারপর আজ (১৪’মে) মুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের তিনজন সদস্য সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ  সংগ্রামী ছাত্র সংস্থার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। এছাড়াও অনেকে বিভিন্ন দায়িত্ব নিয়ে স্বেচ্ছায় কাজে এগিয়ে আসেন।

পঁচিশে মার্চের আগে পর্যন্ত অনেকবার মার্কিন সিনেটর,প্রেসিডেন্ট নিক্সন, উথান্ট এবং বৃহৎ শক্তিবর্গের সরকার ও আরও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কাছে পত্র ও তার বার্তা পাঠানো হয়- বাংলাদেশের রক্তপাত বন্ধ করা ও জনগণের নির্বাচিত নেতাদের হাতে শাসনভার হস্তান্তর করার দাবি জানায়।

    পঁচিশে মার্চের অপরিণামদর্শী ঘটনা আমাদেরকে সাময়িকভাবে স্তম্ভিত ও বিহবল করে। কিন্তু বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণার পরে পরেই পুরোদমে আমাদের প্রচারকার্য শুরু হয়। মাত্র এক ঘন্টার নোটিশে আমরা সকল সদস্য একটা জরুরী সভায় মিলিত হয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করি। দুর্গত মানবতার সেবায় ব্যায় করার জন্য মাথাপিছু কমপক্ষে একশত ডলার চাঁদা দেওয়ার প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে এ সভায় নেওয়া হয়। এ ছাড়া নিউইয়র্কে ব্যায় বহনের জন্য মাসিক চাঁদার পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। প্রথম কিস্তিতে তিন হাজার ডলার তুলে নিউয়র্কে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষভাব উল্লেখযোগ্য এই যে অনেকে ব্যাংকে ধারের খাতার অংক বাড়িয়ে চাঁদা দিয়েছেন, অনেকে নির্ধারিত নিম্নমানের অনেক বেশী দিয়েছেন, এবং সকলেই যে কোন মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য সাধ্যমত সাহায্য করার অঙ্গীকার করেছেন।

    ছাত্র হিসেবে টাকার অভাব থাকলেও,আমাদের কর্ম প্রেরণার অভাব নেই। কলেজস্টেশন থেকে এ পর্যন্ত বহুমুখী প্রচারকার্য চালিয়েছি তার মধ্যে নিম্নলিখিতগুলি উল্লেখযোগ্যঃ

-পঁচিশে মার্চের পরে একশো সিনেটর, জাতিসংঘ প্রধান এবং বৃহৎশক্তির রাষ্ট্রপ্রাধানগণের নিকট কয়েক দফা আবেদনপত্র ও তার বার্তা পাঠানো হয়। এখনও বিশেষ বিশেষ প্রয়োজনে তাঁদের নিকট পত্র ও বার্তা পাঠানো হচ্ছে।

    -বাংলাদেশে স্বাধীনতা সংগ্রামে ও দুর্গত মানবতার সাহায্যের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন শহরের মার্কিন নাগরিকদের স্বাক্ষরসহ ১১ জন প্রভাবশালী সিনেটরের কাছে ১৫০০ আবেদন পত্র পাঠানো হয়েছে।

-টেক্সাস ও এন্ড ইউনিভার্সিটিতে ছাত্র ও শিক্ষকদের মাঝে বাংলাদেশের সংগ্রামের সঠিক চিত্র তুলে ধরা হয়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ প্রত্যাগত অনেক শিক্ষক আমাদের বিশেষ সাহায্য করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টের সাথে দল বেঁধে দেখা করে এখানকার বাংলাদেশের দুর্গত ছাত্রদের জন্য আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস পাওয়া গেছে।

    -পাকিস্তানে প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত ইউজিন লক ও প্রাক্তন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধীদলের নেতা হ্যারল্ড উইলসনের সাথে যথাক্রমে ডালাস ও অষ্টিনে দেখা করে আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করি এবং বাংলাদেশকে সাহায্য করার আবেদন জানাই।

    -স্থানীয় বেতার, টিভি এবং দৈনিকে বাংলাদেশের উপর সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করেছি। এছাড়া হিউস্টনে বাংলাদেশ ছাত্র সংস্থার আয়োজনে ওখানকার টিভি ও বেতারে একই রকম আলোচনা সভায় যোগ দিয়েছি।

    -হারভার্ডের তিনজন বিশ্ববিখ্যাত অর্থনীতিবিদের “পূর্ব পাকিস্তানে সংঘর্ষঃ পটভূমি ও প্রত্যাশা” নামক নিরপেক্ষ রিপোর্ট খানির পাঁচশো কপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে এবং বিশ্বব্যাপী প্রচারের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।

    -এখানে ছাত্র-সিনেট বাংলাদেশের গণ-আন্দোলন দমনে পাকিস্তান সরকারের মার্কিন অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারকে নিন্দা করা হয়েছে।

 

বাংলাদেশ লীগ অব আমেরিকাঃ

সংগঠন ও সংগ্রামের ইতিহাস

    আমাদের কেন্দ্রীয় সংস্থা গড়ে ওঠার পিছনে রয়েছে বহুদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টা। ১৯৪৭ সালে প্রবাসী সিলেটি ব্যবসায়ীরা নিউইয়র্কে পাকিস্তান লীগ অব আমেরিকা নামে বাঙ্গগালিদের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তোলেন। পরে এর নামকরণ হয় ইস্ট পাকিস্তান লীগ অব আমেরিকা। সদস্যসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে এই সংস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য অনেক উল্লেখযোগ্য কাজ করা হয়। গত প্রলয়ঙ্কারি ঝড়ের পর এ সংস্থার সদস্যবর্গ পাক সরকারের উদাসীনতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, বাংলাদেশে রিলিফের জন্য চাঁদা সংগ্রহ ও বাংলা ছবি দেখানো জাতিসংঘের সম্মুখে বাংলাদেশকে আলাদা করার দাবি, একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন, এছাড়া আরও বহুমুখী প্রচারকার্যে প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্থার নাম বদলিয়ে বাংলাদেশ লীগ অব আমেরিকা করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের সাথে এর সরাসরি যোগাযোগও স্থাপিত হয়েছে।

    শীঘ্রই কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্মকর্তা নির্বাচিত হবে। এ ব্যাপারে সকল সদস্য সংস্থা ও মেম্বারদেরকে পূর্বভাবে কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান বাংলাদেশ লীগকে আরও জোরদার করে গড়ে তোলার জন্য মার্কিন ও কানাডাবাসি সকল বাংগালির সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

কেন্দ্রীয় সংস্থার ঠিকানাঃ

ইস্ট পাকিস্তান লীগ অব আমেরিকা, ইঙ্ক,

২৬৬৭ ব্রডয়ে, নিউইয়র্ক ১০০২৫

ফোনঃ (২১২) ৮৬৬-৭৪৭৪

                        *    *   *

 

 

                    যোগাযোগের আবেদন

    নিউইয়র্ক মূল কেন্দ্রকে সব রকমের সাহায্য ও সরাসরি যোগাযোগের জন্য সমস্ত আমেরিকা ও কানাডাকে কতগুলি উপকেন্দ্রে ভাগ করা হয়েছে। আমেরিকার দক্ষিণ অঞ্চলের ৯টি স্টেটের ভার আমরা কলেজস্টেশন, টেক্সাস-এ গ্রহণ করি। আমাদের এই আঞ্চলিক কেন্দ্রের নাম হবে- উপকেন্দ্রঃ দক্ষিণাঞ্চল।যে সমস্ত স্টেটে আমরা সদস্য শাখাগুলির সাথে একসঙ্গে কাজ করতে চাই সেগুলো হলঃ টেক্সাস, নিউমেক্সিকো, লুজিয়ানা, ওক্লাহোমা, আলবামা আরকানসা, মিসিসিপি, ফ্লোরিডা ও জর্জিয়া। এ সমস্ত স্টেটে বাংগালি ছাত্র ও চাকরিজীবি যারা আছেন তারা সবাই শীঘ্রই আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। আপনার এলাকায় আপনি এক হলেও দেশের এই দুর্দিনে আপনার সাহায্য আমাদের একান্ত প্রয়োজন।

    আপনাদের নিজ নিজ এলাকায় বাংলাদেশ লীগ অব আমেরিকার শাখা গঠন করুন এবং শীঘ্রই আমাদের উপকেন্দ্রে আপনাদের সংগ্রামী পরিষদ ও সদস্যদের ঠিকানা ও আপনাদের কার্যকলাপের বিবরণ পাঠান। আপনাদের খবর “বাংলাদেশ পত্রে’ ছাপা হবে।

    আমরা যদি কোনভাবে আপনাদের সাহায্য করতে পারি, তবে জানাতে দ্বিধা করবেন না। আমরা আরও ফলপ্রসূভাবে কাজ করতে চাই। প্রচার কার্যে এবং নিউইয়র্কের সাথে প্রয়োজনীয় যোগাযোগে আমরা আপনাদেরকে সাহায্য করব। তবে চাঁদা পাঠানো ও যে কোন জরুরী কাজের জন্য আপনারা মূলকেন্দ্রের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

 

একটি প্রস্তাব

    আমাদের এই আঞ্চলিক কেন্দ্রে আরও সুষ্ঠুভাবে কার্য সমাধার জন্য সকল সদস্য শাখাকে নিয়ে শীঘ্রই একটা আনুষ্ঠানিক আঞ্চলিক সংস্থা গঠনের প্রস্তাব এসেছে। এর মাধ্যমে আমাদের বর্তমান কর্মপ্রচেষ্টা এর জোরদার করা যায়। প্রচারকার্য, অর্থ সংগ্রহ, নিজেদের মধ্যে সমঝোতা ও সহযোগিতার একটা নিয়মতান্ত্রিক ভিত্তি গঠন করাই আনুষ্ঠানিক সংগঠনের মূল লক্ষ্য হবে। ১৫’মে এক সাধারণ সভায় আমরা এই প্রস্তাব বিবেচনা করবো। এ ব্যাপারে আপনাদের মতামত জানাবেন।

 

ভবিষ্যৎ কর্মসূচী

    শীঘ্রই আমরা কলেজস্টেশন ও নিকটবর্তী শহরগুলোতে স্থানীয় মহলের কর্মকর্তাদের সাহায্যে চাঁদা সংগ্রহ অভিযান শুরু করব।

    বাংলাদেশের উপর টেক্সাস ও এন্ড এম ইউনিভার্সিটিতে আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা হচ্ছে।

    পত্রপত্রিকা ও বিদেশী খবরের কাগজে বাংলাদেশের উপর রচনা ও সংবাদ ছাপাবার আরও জোরদার চেষ্টা চালানো হবে।

    এখানে অনেকেরই স্কলারশিপ বা দেশ থেকে টাকা আসা বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের জন্য চাকরী বা অন্য কোন অর্থ সাহায্য জোগাড় করার চেষ্টা করা হবে।

এছাড়াও আমাদের নিয়মিত প্রচারকার্য আরও সুষ্ঠুভাবে চালানো হবে।

    শীঘ্রই ‘বাংলাদেশ পত্রে’ বাংলাদেশের সংগ্রাম, ঐতিহ্য ও ইতিহাসের উপর একটি সাহিত্য সংখ্যা বেরুবে। প্রবন্ধ ও যে কোন সাহিত্যমূলক রচনা সম্পাদকের ঠিকানায় পাঠাবার জন্য আমাদের পাঠক ও শুভকাঙ্খীদের অনুরোধ করা হচ্ছে।

সম্পাদক, ‘বাংলাদেশ পত্র’

বক্স ২৩৭০।

                                                        কলেজস্টেশন, টেক্সাস ৭৭৮৪০

______________________

সর্বপ্রকার যোগাযোগের জন্যঃ

বাংলাদেশ, বক্স ২৩৭০

কলেজস্টেশন, টেক্সাস ৭৭৮৪০। ফোন (৭১৩) ৮৪৬-২১৩২

 

 

বাংলাদেশ লীগ অব আমেরিকা, কলেজস্টেশন শাখা কর্তৃক মুদ্রিত প্রকাশিত ও প্রচারিত। সর্বপ্রকার যোগাযোগের জন্যঃ বাংলাদেশ, বক্স ২৩৭০, কলেজস্টেশন, টেক্সাস ৭৭৮৪০। ফোন (৭১৩) ৮৪৬-২১৩২।

Scroll to Top