নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার অযোগ্যতা সম্পর্কিত আদেশ ঘোষিত

<2.006.016>

শিরোনাম সূত্র তারিখ
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার অযোগ্যতা সম্পর্কিত আদেশ ঘোষিত সরকারী ৬ই আগষ্ট,

১৯৫৮

 

 

পাকিস্তানি বিশেষ গেজেট,

কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রকাশিত।

 

——————————–

 

 

৭ই আগষ্ট, শুক্রবার, ১৯৫৯, করাচী

পাকিস্তান সরকার

আইন মন্ত্রণালয়

রাষ্ট্রপতির আদেশ নং১৩, ১৯৫৯

 

মনোনয়নপরিষদ (অযোগ্যতা) আদেশ১৯৫৯

 

১৯৫৮ সালের অক্টোবর মাসের সপ্তম দিনের ঘোষনা-পত্র অনুসারে এবং তৎকর্তৃক সক্রিয় সব ক্ষমতাবলে,রাষ্ট্রপতি সন্তুষ্টচিত্তে নিম্নলিখিত আদেশ ঘোষনা করেনঃ

 

১। সংক্ষিপ্ত পদবী, পুংখানুপুংখতা এবং পরিচয়- (১) এই আদেশ মনোনয়ন-পরিষদ (অযোগ্যতা) আদেশ- ১৯৫৯ নামে অভিহিত হবে।

 

(২) এটা সমগ্র পাকিস্তানজুড়ে এবং পাকিস্তানের সকল নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য,সরকারের সেবায় না হলে যেকোন জায়গার নাগরিকদের জন্যে হতে পারে।

 

(৩) এটা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ১৯৬০ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে, পরবর্তীতে তা রহিত হবে।

 

২। বর্ণনা- এই আদেশে, যদি না কোন কিছু বিষয় অথবা প্রসঙ্গের পরিপন্থী থাকে-

 

(ক) “যথাযথ সরকার” অর্থাৎ, ধারা (৪) এর অনুচ্ছেদ (৪) এর অধীনে রাষ্ট্রপতির নামে বা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত ট্রাইব্যুনালের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং সরকারের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য ক্ষেত্রে;

 

(খ) ” মনোনয়ন-পরিষদ ” মানে কোনো সমাবেশ, বোর্ড, কমিটি বা অনুরূপ অন্যাঙ্গ, যেকোন নামে অভিহিত হোক না কেন, প্রতিষ্ঠিত বা কোন আইনের দ্বারা অথবা অধীনে প্রতিষ্ঠিত হবে যা নির্বাচিত সদস্যদের সম্পূর্ণ বা আংশিক নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয় এবং  আইনসভা,পৌর কর্পোরেশন, পৌরসভা কমিটি, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, জেলা বোর্ড, চিহ্নিত এলাকা ভিত্তিক কমিটি, শহর ভিত্তিক কমিটি, স্যানিটারি কমিটিকে সংযুক্ত করে বা অন্য যে কোন স্থানীয় সংস্থা বা নির্বাচনী কলেজ আইনসভার নিকট নির্বাচনের জন্য গঠিত হয়।

 

 

 

 

 

<2.006.017>

 (গ) “অপরাধ” আগস্ট, ১৯৪৭-এর চতুর্দশতম দিনের পরের আচরণকে বোঝায়, এবং কোন নাশকতামূলক কার্যকলাপসহ, কোন মতবাদ প্রচার বা এমন কোন কিছু করা যা রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভূমিকা রাখে, ঘুষ, দুর্নীতি বা দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার জন্যে একটি সাধারণ এবং ধারাবাহিক খ্যাতি, দালালি, পক্ষপাতিত্ব, স্বজনপ্রীতি, ইচ্ছাকৃত অপশাসন, ইচ্ছাকৃত অপপ্রয়োগের বা সরকারী অর্থ বা সরকারি চাঁদা দ্বারা বা অন্যথায় সংগৃহীত অর্থ এবং যে কোন ধরণের ক্ষমতা বা পদের দ্বারা অন্য যেসব অপব্যবহার, এবং এ জন্যে কোন প্রচেষ্টা, অথবা, এ ধরণের অপরাধমূলক উৎসাহ প্রদান করা;

(ঘ) “বিবাদী” মানে সে ব্যক্তি যাকে আর্টিকেল ৬ এর ধারা (১) অনুযায়ী প্রসঙ্গত উল্লেখ করা হয়েছে, এবং

(ঙ) “ট্রাইব্যুনাল” মানে আর্টিকেল ৩-এর অধীনে নিযুক্ত একটি ট্রাইব্যুনাল।

৩. ট্রাইব্যুনালের নিয়োগ – (১) রাষ্ট্রপতি, পশ্চিম পাকিস্তানের গভর্নর এবং পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর এই অর্ডারের উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে, প্রজ্ঞাপন দ্বারা অফিসিয়াল গেজেটের মাধ্যমে, এক বা একাধিক ট্রাইব্যুনাল নিয়োগ করতে পারবে।

(২)  এরকম প্রতিটি ট্রাইব্যুনালের তিনজন সদস্য থাকবে, যাদের মধ্যে একজনকে প্রিজাইডিং সদস্যের নিকট অবহিত করা হবে এই মর্মে যেঃ

 প্রিজাইডিং সদস্য এমন একজন ব্যক্তি হবেন যিনি সুপ্রিম কোর্ট, ফেডারেল কোর্ট বা হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে আছেন বা ছিলেন, বা জেলা ও দায়রা জজ; যিনি হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাবার যোগ্যতা অর্জন করেন বা করেছিলেন।

 

(৩) উপরোল্লিখিত নিযুক্ত ট্রাইব্যুনালস যথাক্রমে কেন্দ্রীয় (নির্বাচনী সংস্থার অযোগ্যতা) ট্রাইব্যুনাল, পশ্চিম পাকিস্তানের (নির্বাচনী সংস্থার অযোগ্যতা) ট্রাইব্যুনাল ও পূর্ব পাকিস্তানের (নির্বাচনী সংস্থার অযোগ্যতা) ট্রাইব্যুনাল নামে পরিচিত হবে।

৪. ট্রাইবুনাল কার্যাবলীঃ- (১) ধারা (৪) এ বিবৃতির ব্যতিরেকে, কেন্দ্রীয় (নির্বাচনী সংস্থার অযোগ্যতা) ট্রাইব্যুনাল; যেসব অপরাধ সংক্রান্ত তদন্ত ও মামলার রিপোর্ট পেশ করবে –

(ক) যে ব্যক্তি কোনো অফিস, পোস্ট বা অবস্থান, নির্বাচনী সংস্থার অধীনে সদস্যপদ সহ বা এরূপ প্রতিষ্ঠানের কাজের বিষয়ে যোগাযোগ রয়েছে, অথবা, ফেডারেশনের সাথে; এবং

(খ) যেসব ব্যক্তি সাধারণত অপরাধ সংঘটনের সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজধানীর বাসিন্দা ছিল, বা এর পরের যে কোন সময়ে। 

(২) ধারা (৪) এ বিবৃতির ব্যতিরেকে, পশ্চিম পাকিস্তানের (নির্বাচনী সংস্থার অযোগ্যতা) ট্রাইব্যুনাল যেসব অপরাধ সংক্রান্ত তদন্ত ও মামলার রিপোর্ট পেশ করবে-

(ক) যে ব্যক্তি, অক্টোবর, ১৯৫৫ এর চতুর্দশতম দিনের পরে, কোনো অফিস, পোস্ট বা অবস্থান ধরে রেখেছিল, নির্বাচনী সংস্থার অধীনে সদস্যপদ সহ বা পশ্চিম পাকিস্তানের প্রাদেশিক কর্মকান্ডে যুক্ত অবস্থায়, বা এর আগের দিন, যে কোন প্রাদেশিক কাজে যুক্ত অবস্থায়, ক্ষমতাসীন প্রদেশ অথবা অন্যান্য এলাকায়, উল্লেখিত প্রদেশের মধ্যে সেদিন যারা অন্তর্ভুক্ত ছিল; এবং

<2.006.018>

(খ) যেসব ব্যক্তি সাধারণত অপরাধ সংঘটনের সময় অথবা এরপরে যে কোন সময়ে সদ্যগঠিত  প্রদেশ যা পশ্চিম পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলের বাসিন্দা।

(৩) ধারা (৪) এ বিবৃতির ব্যতিরেকে, পূর্ব পাকিস্তানের (নির্বাচনী সংস্থার অযোগ্যতা) ট্রাইব্যুনাল যেসব অপরাধ সংক্রান্ত তদন্ত ও মামলার রিপোর্ট পেশ করবে-

 (ক)  যেসব ব্যক্তি কোনো অফিস, পোস্ট বা অবস্থান, নির্বাচনী সংস্থার অধীনে সদস্যপদ সহ বা পূর্ব পাকিস্তানের বা পূর্ব বাংলার প্রদেশে বা প্রদেশের কোন কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকলে; এবং

(খ) যেসব ব্যক্তি অপরাধ সংঘটনের সময় পূর্বোক্ত প্রদেশের সাধারণ বাসিন্দা বা এর পরে যে কোন সময়ে।

(৪) যেখানে, (১), (২) এবং (৩) বিধান অনুসারে, তদন্ত এবং প্রতিবেদন, কোন ব্যক্তির পক্ষে একাধিক ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক গঠন করা যেতে পারে, তার বাসস্থানের কারনে, অথবা একাধিক অফিস, পোষ্ট বা অবস্থানে থাকার অভিযোগে, তারপরে এই অর্ডারের সাথে কোনরকম সম্পর্ক ব্যতিরেকে, রাষ্ট্রপতি, যে কোন ট্রাইব্যুনালের রেফারেন্স সাপেক্ষে, বা অন্যথায়, ঐ ট্রাইব্যুনালের নাম উল্লেখে যেটি উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সকল তদন্ত ও প্রতিবেদন পেশ করেছে।

(৫) নির্দিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিষিদ্ধকরণঃ–  (১)  তথাপি এই ধারায় বা অন্য কোন আইনে অন্তর্ভুক্ত, এক ব্যক্তি ৩১শে ডিসেম্বর, ১৯৬৬-এর দিন পর্যন্ত, যে কোন নির্বাচনী সংস্থার সদস্য বা সদস্যপদ লাভে প্রার্থী হয়ে থাকলে অযোগ্য বিবেচিত হবেন। –

 

(ক) যদি তিনি সরকারি চাকুরি বা সরকারি বিধিবদ্ধ কর্পোরেশন থেকে অদক্ষতা ব্যতীত অন্য কোন অভিযোগে বরখাস্ত, অপসারণ অথবা জোরপূর্বক কর্মচ্যুত করা হলে; অথবা

(খ) যদি তার বিরুদ্ধে কখনো সিকিউরিটি অব পাকিস্তান অ্যাক্ট, ১৯৫২ এর ৩নং ধারার(১৯৫২ এর ৩৫তম) অধীনে কোন আদেশ, অথবা প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত অনুরূপ যে কোন ধরণের আইনের আদেশের অধীনে, অথবা বহির্বিশ্বের বিষয়াবলী, অথবা পাকিস্তানের বা এর কোন অংশের নিরাপত্তা, অথবা জনগণের রক্ষণাবেক্ষণে অত্যাবশ্যকীয় মালামাল সরবরাহ ও সংরক্ষণ অথবা জনশৃংখলা রক্ষায় অপরিহার্য বিষয়ক কোন অভিযোগ থাকে; অথবা

(গ) যদি তিনি ফেডারেল কোর্ট, হাইকোর্ট বা পাবলিক এন্ড রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসের(নিষিদ্ধ) ধারা, ১৯৪৯ এর অধীনে একটি ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হন ; অথবা

(ঘ) যদি তিনি কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে থাকেন এবং দন্ডিত একটি মেয়াদে

দুই বছরের বেশি সময়ের জন্য বা কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কারাদণ্ড পেয়ে থাকেন।

 

৬. ট্রাইব্যুনালের রেফারেন্সঃ- (১) একটি ট্রাইব্যুনাল নির্দিষ্ট কর্মকর্তা, কমিটি বা উপযুক্ত সরকারের কর্তৃপক্ষের সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এ উদ্দেশ্যে নিযুক্ত অফিসারের লিখিত রেফারেন্স ব্যতিরেকে কোন অপরাধের তদন্তে অগ্রসর হবে না।

<2.006.019>

 (২) ধারা (১) এর অধীনে একটি রেফারেন্সের প্রাপ্তি সাপেক্ষে, ট্রাইব্যুনাল রেফারেন্সে উল্লেখকৃত অভিযোগ ও এর সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র নিরীক্ষণ করবে, এবং

(ক) যদি, উক্ত নিরীক্ষণের ফলে, যদি প্রতীয়মান হয় যে কোন অভিযোগ উপস্থাপন করা যাচ্ছে না, তাহলে রেফারেন্স সহ যথাযথ সরকারের কাছে এই মতামত প্রেরণ করতে হবে, এবং,

(খ) অন্যান্য ক্ষেত্রে, এই আইনের অধীনে, বিবাদীকে কেন একটি সুপারিশ করা হবে না শীর্ষক কারন দর্শাও নোটিশ জারি করা হবে।

(৩) উপ-ধারা (ক) এর কোন কিছুই ধারা (২) ছাড়া কোনো পরবর্তী রেফারেন্স বহন করবে না

ট্রাইব্যুনাল।

৭. জনজীবন, ইত্যাদি থেকে অবসর গ্রহণ করার প্রস্তাবঃ – (১) একটি নোটিশ আর্টিকেল ৬ এর উপ-ধারা (খ) এর ধারা (২) থেকে, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, বিবাদীর নিকট একটি প্রস্তাব থাকবে যে, যদি সে চায়, তাহলে সে জনজীবন থেকে ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৬ পর্যন্ত অবসর গ্রহণ করতে পারবে।

(২) যদি বিবাদী তার বিরুদ্ধে তদন্তে আনীত অভিযোগ ধারা (১) এর অধীনে প্রস্তাব গ্রহণ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ গ্রহণ অবিলম্বে বন্ধ করা হবে এবং তিনি ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৬ পর্যন্ত অযোগ্য বিবেচিত হবেন, সদস্য বা কোন নিবার্চক মন্ডলীর সদস্যপ্রার্থী হিসেবে।

৮. ট্রাইব্যুনাল ইত্যাদি দ্বারা তদন্ত. – (১) যদি বিবাদী আর্টিকেল ৭ এর ধারা (১) এর অধীনে আনীত প্রস্তাব গ্রহণ না করেন, ট্রাইব্যুনাল তাহলে, তদন্তের সাথে সম্পর্কিত আরও রেকর্ড এবং যাচাই বাছাই শেষে এবং বিবাদীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে, তার তথ্যের রেকর্ড এবং যথাযথ সরকারের নিকট প্রতিবেদন প্রেরণ, এবং যদি বিবাদী দোষী সাব্যস্ত হন, ট্রাইব্যুনাল তাহলে যথাযথ সরকারকে বিবাদী কর্তৃক অপরাধ সংগঠনের ফলে কোন ক্ষতি হয়ে থাকলে তার ক্ষতিপূরণ, বা বিবাদী কর্তৃক কোন ভাল কাজের মাধ্যমে পূরণ করার ব্যাপারে সুপারিশ করতে পারবে।

(২) যদি বিবাদী দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে যথাযথ সরকার একত্রিশে ডিসেম্বর, ১৯৬৬ পর্যন্ত বিবাদী একজন সদস্য অথবা কোন নির্বাচনী মন্ডলীর সদস্যপদ গ্রহণে অযোগ্য বিবেচিত হওয়ার জন্যে একটি আদেশ পাশ করবে এবং বিবাদী কর্তৃক অপরাধ সংগঠনের ফলে কোন ক্ষতি হয়ে থাকলে তার ক্ষতিপূরণ, বা বিবাদী কর্তৃক কোন ভাল কাজের মাধ্যমে পূরণ করার ব্যাপারে আদেশ উপরন্তু প্রয়োগ করতে পারবে।

৯. ট্রাইব্যুনাল এর ক্ষমতাঃ– যখন দেওয়ানি কার্যপ্রণালী, ১৯০৮ (১৯০৮ এর অ্যাক্ট ৫) এর অধীন একটি মামলা পরিচালনা করবে তখন একটি ট্রাইব্যুনালের একটি দেওয়ানী আদালতের সমপরিমান ক্ষমতা থাকবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো সাপেক্ষে, –

(ক) তলব করা এবং কোন ব্যক্তির হাজিরা বলবৎ করা এবং শপথের মাধ্যমে তাকে অনুসন্ধান করা;

(খ) কোনো দলিলের উদঘাটন এবং প্রণয়ন প্রয়োজনে;

(গ) হলফনামায় প্রমাণ গ্রহণ; এবং

(ঘ) কোন সাক্ষী ও দাখিলকৃত দলিলপত্র পরীক্ষার জন্য কমিশন জারি।

 

 

 

 

<2.006.020>

১০. ট্রাইব্যুনালের আরও ক্ষমতাঃ– (১) পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের স্বার্থে ট্রাইব্যুনাল যে কোন ব্যক্তিকে হাজির হতে বাধ্য করার ক্ষমতা থাকবে, কোনো বিশেষাধিকার যা কোন আইনের অধীনে ঐ ব্যক্তির দাবি সাপেক্ষে আপাততঃ বলববৎ জন্য কোন তথ্যের সরবরাহে ট্রাইব্যুনাল তার সুবিবেচনা করতে পারবে।

(২) একটি ট্রাইব্যুনাল, লিখিত আদেশ দ্বারা, কোনো গেজেটেড পুলিশ অফিসারকে নির্দেশ দিতে পারবে, যে কোনো ভবনে বা স্থানে প্রবেশ, যেখানে বিশ্বাসযোগ্য সূত্রমতে অ্যাকাউন্টের কোনো বই বা অন্যান্য কাগজপত্র (তারা অ্যাকাউন্টের সাথে বা না আছে কিনা) যা এই বিষয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত যেটি আগেই পাওয়া যেতে পারে, এবং আদেশক্রমে তাকে এই ধরনের বই বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিতে পারে বা দলিল বা এর কোন কপি  বা এর কোন অংশ নিতে, এবং এর বিধান, সেকশন ১০২ এবং ১০৩, ফৌজদারী কার্যবিধির, ১৮৯৮ (১৮৯৮ এর অ্যাক্ট ৫) অনুসারে,

এমন অফিসার তার কার্যধারার ক্ষেত্রে বা এমতাবস্থায় প্রযোজ্য হতে পারে।

(৩) একটি ট্রাইব্যুনাল নিজস্ব অবমাননার শাস্তি বিধানে একটি হাইকোর্টের সমান ক্ষমতা থাকবে।

(৪) একটি ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য, পাকিস্তান দণ্ডবিধির একাদশ অধ্যায়ের অন্তর্ভুক্ত বিধানের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে (১৮৬০ এর ৪৫ নং আইন),  একটি বৈধ বিচারকার্য বলে গণ্য হবে, এতদসংক্রান্ত যেসব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে সে হিসাবে।

(৫) একটি ট্রাইব্যুনালের একটি দেওয়ানী আদালতের সমান ক্ষমতা থাকবে যেটি সিভিল কার্যপ্রণালী. ১৯০৮ (১৯০৮ সালের ৫ নং আইন), এর অধীনে কোনো জনসাধারণের দাবির প্রেক্ষিতে কোন পাবলিক রেকর্ড বা কোন আদালত বা অফিস থেকে উহার কপির সাপেক্ষে একটি মামলা পরিচালনা করতে পারবে।

১১. ট্রাইব্যুনালের কার্যপ্রণালীঃ– (১) এই আদেশের বিধান এবং এর অধীনে প্রণীত বিধি বলবৎ ছাড়া অন্য যে কোন আইনে যা কিছুই থাকুক না কেন, একটি ট্রাইব্যুনাল সর্বথা তার বিচারকার্য পরিচালনা এবং তার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করার ক্ষমতা থাকবে, যেখানে এটি মানানসই হবে বলে মনে করে।

(৩) উপরি-উক্ত ধারার সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ন না করে, ট্রাইব্যুনাল তার বিচক্ষণতায় কোন সাক্ষী পরীক্ষা বা তার কোনো নথি তলব করতে অস্বীকার করতে পারে।

(৪) যখনই কোনো বিবাদী ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হবেন তিনি ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হবেন এবং নিজেই শুধুমাত্র এবং কোন বন্ধু বা উপদেষ্টা বা উকিল তাকে বিচারকার্যের সময় সাহায্য করবে না।

১২. আইন প্রণয়নের ক্ষমতাঃ– কেন্দ্রীয় সরকার, প্রজ্ঞাপন দ্বারা সরকারী গেজেটে, এই অর্ডারের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে আইন প্রণয়ন করতে পারবে।

১৩. বিচারব্যবস্থার সীমাবদ্ধতাঃ–  এই অর্ডারের অধীনে আনীত যে কোন বিধানের কোন নিয়ম, এবং কোন অর্ডার, কার্যকারিতা, তথ্য, রিপোর্ট বা একটি ট্রাইব্যুনালের সুপারিশ, এবং প্রেসিডেন্ট বা গভর্ণর কর্তৃক কোন আদেশ জারি অথবা ধারণা করা যে জারি করা হয়েছে, এসব কিছুই যে কোন আদালতে প্রশ্নাতীত থাকবে।

১৪. বকেয়া অর্থ ভূমি রাজস্ব হিসাবে আদায়যোগ্যঃ-  আর্টিকেল ৮ এর অধীনে আদায়যোগ্য কোন অর্থ এবং যথাযথভাবে প্রদান না করা হলে তা ভূমি রাজস্ব বকেয়া হিসাবে আদায়যোগ্য হবে।

 

 

<2.006.021>

১৫. এই অর্ডার এর বিধান সহ এবং অন্যান্য আইনের মর্যাদাহানি ব্যতিরেকে শর্তঃ- এই অর্ডারের বিধান সহ এবং অন্যান্য আইনের মর্যাদাহানি ব্যতিরেকে অন্য যে কোন আইন এই সময়ের মধ্যে বলবৎ থাকবে এবং এই অর্ডার অন্য যে কোন আইনের আওতায় কোন ব্যক্তিকে আইনের অধীনে বিচারে এবং শাস্তির ক্ষেত্রে বাধা প্রদান বা পক্ষপাত প্রদর্শন করবে না।

 

মোহাম্মদ আইয়ুব খান, এইচপি, এইচজে.

জেনারেল,

প্রেসিডেন্ট।

——————-

 

করাচী,                                                                  মুজিবুর রহমান খান

৬ই আগস্ট, ১৯৫৯।                                                           যুগ্ম-সচিব।

Scroll to Top